বিদেশ ডেস্ক ॥ ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে চলা সংঘর্ষে বিজয় দাবি করেছেন হামাসের এক জ্যেষ্ঠ নেতা। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার দেয়া এক ভাষণে সংগঠনটির রাজনৈতিক শাখার এই নেতা বিজয় দাবি করেন। গাজায় হামাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা খলিল আল হায়া বলেন, ‘এটি আনন্দজনক বিজয়।’ এএফপির খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যায় মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও গাজা। ইসরায়েলের রাজনৈতিক নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ ঘোষণা আসে। গাজার দ্বিতীয় শক্তিধর সশস্ত্র দল ইসলামিক জিহাদও এতে অন্তর্ভুক্ত হয়। গতকাল শুক্রবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ মাসের শুরু থেকেই গাজায় সংঘাত বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চাপ প্রয়োগ করে। গত ১০ মে থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা শুরু করে। পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষের জের ধরে ১১ দিন ধরে ইসরায়েল ও গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের সংঘর্ষ শুরু হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলের হামলায় ২৩২ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৫ জন শিশু। আহত হয়েছে ১ হাজার ৯০০ জন। হামাস বলছে, গাজার বড় এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, গাজায় হামাস ও অন্যান্য ইসলামপন্থী সশস্ত্র দলগুলো ৪ হাজার ৩০০-এর বেশি রকেট ছুড়েছে। এসব রকেট হামলা আয়রন ডোমের মাধ্যমে প্রতিহত করা হয়েছে। ইসরায়েলি পুলিশের দাবি, এসব রকেট হামলায় ইসরায়েলে ১২ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুটি শিশু, একজন ইসরায়েলি সেনা, একজন ভারতীয় এবং দুজন থাই নাগরিক। ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি পুনর্র্নিমাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেণ খলিল আল হায়া। ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে এবারের সংঘাতকে বলা হচ্ছে ২০১৪ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত। ২০১৪ সালের ওই সংঘাতে ২ হাজার ২৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হন। ইসরায়েলের পক্ষে প্রাণহানি ছিল ৭৪, যাদের অধিকাংশই সেনাসদস্য।
Leave a Reply